দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সফল রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. রাসেল মাহমুদ, মো. নোবেল মাহমুদ ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট ফ্যাসীবাদী শক্তির পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ফ্যাসীবাদী শক্তির দোসরদের কারণে এখনো বহু নিরপরাধ মানুষ কারাগারে বন্দি।”
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সফল রেমিটেন্স যোদ্ধা মো. রাসেল মাহমুদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. নোবেল মাহমুদ ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে’ অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা বলেন, “বিগত ২৮ মে মাধবদীর মেহের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসান আ.লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলনে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদ ও তার পরিবার কোনোভাবেই জড়িত নয়। পতিত সরকারের জেলা নেতৃত্ব ও সংসদ সদস্যদের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে তাদের হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রশাসনের বিভিন্ন কাঠামোতে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে। তারা খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর সে কারণেই রাসেল ও নোবেলকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা যেন খুনিদের আড়াল করতে না পারে। প্রকৃত খুনিদের বিচার আপনাদের করতেই হবে।”
ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, “মিথ্যা মামলার আসামি নোবেল মাহমুদকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারের সময় বাড়ির মহিলাদেরকেও হত্যা মামলার আসামি করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে যা পরিচ্ছন্নভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।”
তিনি বলেন, “পতিত সরকারের মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানদের আধ্যিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও তাদের সন্ত্রাসী এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা এবং ভোটারবিহীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণেই রেমিটেন্স যোদ্ধা রাসেল মাহমুদ, তার ভাই নোবেল মাহমুদ ও বাবা হাবিবুর রহমানকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আসামি করা হয়।”
সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে সংশ্লিষ্ট দায়ি ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানরান তিনি। বলেন, “অন্যথায় মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদসহ পুরো পরিবার ও নাবালিকা সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।”
জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠক মনিরুজ্জামান মনি, জাতীয় জনতা ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, কৃষক নেতা শফিকুল আলম শাহীন প্রমুখ
Sharing is caring!