আজ বৃহস্পতিবার, ১৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরীর শেষ যে ইচ্ছাটা পূরণ হচ্ছে না

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরীর শেষ যে ইচ্ছাটা পূরণ হচ্ছে না

না ফেরার দেশে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাত মতিয়া চৌধুরী। বুধবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

৮২ বছর বয়সি বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের শেষ ইচ্ছা ছিল, মৃত্যুর পর তার মরদেহ যেন নির্বাচনি এলাকা নালিতাবাড়ীর শাহী মসজিদ গোরস্থানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দাফন করা হয় এবং কবরটা যেন পাকা না করা হয়। জীবদ্দশায় একাধিক জনসভায় বারবার তিনি এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।

কিন্তু মতিয়া চৌধুরীর সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। নির্বাচনি এলাকায় নেওয়া হচ্ছে না তার মরদেহ। দাফন করা হবে মিরপুরের শহিদ বৃদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানে তার দাফনের জন্য নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের কাছে। নতুন জায়গা না পেলে একই কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরেই তাকে দাফন করা হবে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, ‘এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ নিজের নির্বাচনি এলাকায় নেওয়া হচ্ছে না। বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গুলশান আজাদ মসজিদ মাঠে মতিয়া চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পান। গত ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন শেরপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।

ছাত্র অবস্থায় আইয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসা সেসময় ঢাকার ইডেন কলেজেন ভিপি ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। সেসময় বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে রাজপথের লড়াকু যৌদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ছাত্র ইউনিয়ন যখন দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, তখন তিনি একটি অংশের নেতৃত্ব দেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের সভাপতি হন।

পঁচাত্তরে পরিবারসহ শেখ মুজিবকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন মতিয়া চৌধুরী। তখন তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতা না হয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর মতিয়া চৌধুরী তার সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেন।

Sharing is caring!