কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জের চার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে ও শহরের থানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএম মাহমুদ (৫৪), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য তৌফিকুর রহমান (৪৮), আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল তালুকদার (৩৩) ও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিনা (৪৪)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিসহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের থানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মীনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরবর্তীতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী, তার স্ত্রীসহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহরটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এ ছাড়াও এসএম জিলানী, তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩৫ দলীয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।
শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
Sharing is caring!