ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে নারী-শিশুসহ দেড়শতাশিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমুদ্রে কয়েকদিন ধরে নৌকা নোঙর করে রাখার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে এই শরণার্থীদের উপকূলে নিয়ে আসা হয়।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা শুক্রবার একথা জানিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর-এর উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
বেশিরভাগ জাতিগত রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়ে প্রতি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ ও বিপজ্জনক সমুদ্রে যাত্রা করে।
১৫২ জনকে বহনকারী নৌকাটি কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ আচেহ জেলার উপকূল থেকে ১.৬ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয়। কর্মকর্তারা তাদের নামতে দেবেন কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের উপকূলে নিয়ে আসা হয়।
ইউএনএইচসিআর-এর ফয়সাল রহমান শুক্রবার এএফপিকে বলেছেন, “মানবিক মনোভাব ও জীবন রক্ষার পাশাপাশি প্রায় ১৫২ শরণার্থীকে অবতরণের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” তিনি বলেন, “নৌকায় যারা ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই ছিল অরক্ষিত নারী ও শিশু, মানবপাচারের শিকার।”
ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো এখন শরণার্থীদের সহায়তা করছে।
ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের আগমনের প্রবণতা এক ধরনের চক্রাকার কৌশল অনুসরণ করে। ঝড়ের মাসগুলোতে হ্রাস পায়। সমুদ্র শান্ত হলে বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় আগমন বেড়েছে। ১৪০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর আরেকটি দল বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সুমাত্রা প্রদেশে পৌঁছেছে।
ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। দেশটি বলেছে, মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের নিতে বাধ্য করা যাবে না। প্রতিবেশী দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের বোঝা ভাগ করে নেওয়া এবং উপকূলে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
Sharing is caring!