কুমিল্লার একটি অংশে নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতারা একত্রিত হচ্ছেন মিটিং করার জন্য। ভারতের আগরতলায় তারা একটি সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সমাবেশ থেকে তারা একটি প্রবাসী সরকারের ঘোষণা দিতে চায়, শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে পারেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ।
শনিবার সন্ধ্যায় ভাষা সাহিত্য চর্চা একাডেমি নোয়াখালীর আয়োজনে ‘নজরুল সাহিত্যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা এবং শহীদদের পরিবারে আর্থিক অনুদান ও দোয়া অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ বলেন, ‘এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা এখন সাপের মতো বসে বসে অনেকটা রেস্ট নিচ্ছে আর তাদের দাঁতকে আরো বেশি বিষাক্ত করছে। তাদের এই বিষাক্ত ছোবল আমাদের মানচিত্র, আমাদের পতাকার উপরে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের অনেকে তাদের মাথাছাড়া দিয়ে উঠার জন্য সাহায্য করছে।’
চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালীন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাসুদ বলেন, ‘যখন আমরা স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই মাসে আন্দোলন করেছি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা শাহবাগের মোড়ে তপ্ত রোদে বসে যখন ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমাদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে নজরুলের গান বাজানো হতো। নজরুলের গান চব্বিশের বিপ্লবে একমাত্র ছাত্রদের বিপ্লবী চেতনা জাগিয়ে তুলেছে। কাজী নজরুল ইসলাম আজ থেকে শতবৎসর আগে যে গান-কবিতা লিখেছিলেন তা আজো বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, চব্বিশের মহান বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে নজরুলের লেখা গান।’
নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজান বিন মজিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে চব্বিশের আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া করা হয় ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক অনুদানের টাকা তুলে দেন অতিথিরা।
Sharing is caring!