সিলেটে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীর উপর হামলা ও বাসাবাড়ি ভাঙ্গচুর করেছে সন্ত্রাসী বাহিনী।
(০৭ মার্চ) মঙ্গলবার, রাত ১০ টার দিকে, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আহমেদ লায়েকের উপর কয়েকজন যুবক অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে যায়।
জানা যায় যে লায়েক তার পৈতৃক বাড়ি গোলাপগনজ থেকে সিলেটের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হোন তার অসুস্থ বাবা মা বাবা ও পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য। দেখা করে তিনি আবার আনুমানিক রাত ৯:৩০ টার দিকে বের হয়ে যান গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে । ঔ সময় তার উপর অতর্কিত হামলা হয়।
হামলার বিষয়ে আহত লায়েক বলেন, তিনি তার বাবা মা’ কে দেখে বাসা থেকে বের হোন। কিছুদূর যাওয়ার পর, অন্ধকার গলিতে থাকা কিছু যুবক তার গাড়ি থামিয়ে থাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন, এরপর থাকে গাড়ি থেকে বের করে বাঁশের লাটি দিয়ে তারা থাকে মাঠিতে ফেলে আঘাত করে এবং বলতে থাকেন “তোদের রাজনীতির দিন শেষ, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে গুম করে ফেলবো” ” তোর নেত্রীর মত তোদেরকে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করব ” ।
এ সময় তার সাথে থাকা মানিব্যাগে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেস ও মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় তারা। তার সাথে থাকা বন্ধু (নিরাপত্তার সার্থে নাম উল্লেখ না করে বলেন) হামলার বাধা দিলে থাকেও তারা মারধর করে। মুখোশ পড়া থাকার কারনে তাদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে তিনি ধারনা করেন,দেশে আসার পর থেকে যারা তার পরিবারকে হুমকি ও চাদা দাবি করে আসছিল , তারাই এ কাজ করেছে।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ২১ ফ্রেব্রুয়ারী তিনি প্রবাস থেকে দেশে আসেন। দেশে আসার পর থেকে তিনি ও তার ফ্যামিলি বিভিন্ন রকম হুমকি পাচ্ছিলেন। নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বর্তমান বিএনপি/ জামাত ও কিছু স্তানীয় সমন্বয়ক মিলে তার বাড়িতে আসে। আসার পর তারা থাকে বলে,” তোমরা কি ছাত্রলীগকে সংগটিত করতে দেশে আসতেছো, দেশকে অস্তিতিশীল করতে, বিদেশে থেকে অনেক প্ররোচনা দিছিস?” উত্তরে আমি তাদের বোঝাতে চেষ্টা করি, ” আমি সাবেক কর্মী ছিলাম, আমি কারও কোন ক্ষতি করিনি, আমি খুব অসুস্থ, আমার বাবা মা তারাও অসুস্ত। আমি আমার বাবা মায়ের সাথে দেশে থাকতে এসেছি। আমার অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই।” কিন্তু, কোনভাবেই তারা বোঝতে চায়না,আমার সাথে অনেক্ষন কথা কাটাকাটি হয়। এরপর, আইনের আশ্রয় নিব বললে, একজন বলে উটে, “আইন এখন আমরা চালাই, আমাদের কিছু করতে পারবেনা “। এরপর সেদিন তারা চলে যায়।
এর দু একদিন পর, তারা আবার আমার বাসায় আসে, আমাকে না পেয়ে, তারা আমার অসুস্থ বাবা মা কে অনেক ভয় দেখায়, এক পর্যায়ে তারা বলে, তোদের ছেলেকে জুলাই গণহত্যা মামলায় ডুকিয়ে দিব, যদি বাঁচাতে চাস, আমাদেরকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমার বাবা মা ‘ রাজি না হলে তারা তাদের হুমকি ও ভয় দেখিয়ে যায় এবং বলে যায় তোর ছেলেকে দেখে নিব কিছুদিনের ভিতর টাকা না দিলে। ঔ দিন একটা কাজে আমি বাসার বাহিরে ছিলাম। বাসায় এসে এসব শুনতে পাই এবং ঔদিন থেকে আমি, আমার পরিবার খুব ভয়ে দিন কাটাতে থাকি। এরপর থেকে আমি একটু নিরাপদে লুকিয়ে থাকতাম।
তারপর, চাদা না পেয়ে ০৪ মার্চ, ২০২৫, রোজ শনিবার, তারা আমার বাসায় এসে ভাঙ্গচুর করে, অকট্য বাসায় গালাগালি করে, এবং আমাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন হুমকি দেয়। তখন থেকেই আমি আর বাসায় থাকতাম না।
লায়েক বলেন, পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে তার উপর হামলা এবং বাসা ভাঙ্গচুর হয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিন এবং তখনও তিনি ঔ দলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এরপর পেশাগত উচ্ছশিক্ষার জন্য বাহিরে চলে যান। কিছুদিন আগে তিনি দেশে আসেন কিন্তুু আসার পর থেকে তিনি এবং তার পরিবার বিভিন্ন ভয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার ফল সরুপ, তাদের বাসা ভাঙ্গ চুর, পরিবারকে হুমকি এবং তার উপর এই হামলা হয়।
মুটোফোনে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তিনি ভয়ে পালিয়ে আছেন। আইনের আশ্রয় কেন নেননি, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান আইনের পরিস্তিতি নিয়ে তিনি খুবই হতাশ, দেশে মব justice চলতেছে, মামলা বানিজ্য চলতেছে, নিরাপত্তা কর্মীর উপস্তিতিতেই অনেক নিরীহ মানুষের উপর হামলা হচ্ছে, থানার ভিতরে ডুকে হামলা করতেছে, কোর্টের ভিতরে ডুকে হামলা করতেছে, পরীক্ষা হলে ডুকে হামলা হছে । এমন অবস্তায়, তিনি ভয়ে থানায় যাননি, যদি থাকে এরেস্ট করে তাহলে নির্যাতন করবে এই ভয়ে। তারপর তিনি বলেন, তিনি তার পরিবারকে বিপদের সম্মুখীন করতে চান না কারন, তিনি থানায় গেলে তারা আবার তারা তার অসুস্ত বাবা মা এবং পরিবারকে নির্যাতন করতে পারে। এজন্য তিনি পালিয়ে আছেন। এমতাবস্থায় তিনি ও তার পরিবার জীবনের আশংকা অনুভব করছেন নিরাপত্তাজনিত কারনে।
Sharing is caring!