জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা দূর করতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবে ফাউন্ডেশনটি।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর উপস্থিতিতে এ চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সমঝোতা স্মারকের বিবরণী থেকে জানা যায়, প্রাথমিক অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বসুন্ধরা রিভারভিউয়ে এ আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের ফলাফল, দরিদ্রতা ও পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ১০০%, ৭৫%, ৫০%, ২৫% বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। অস্থায়ী আবাসনে উন্নতমানের লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ল্যাবের সুবিধা থাকবে। শিক্ষার্থীর ভাষাগত দক্ষতার জন্য আইইএলটিএসসহ নানা ধরনের সফট স্কিল অর্জনে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স সুবিধা থাকবে। এই আবাসনের পুরো ব্যয়ভার আস-সুন্নাহ বহন করবে। তবে অস্থায়ী আবাসন থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের পরিবহন ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
এ বিষয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ আমরাও এ রকম একটি প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে, তাই আমাদের দুই পক্ষের চাওয়া মিলে যাওয়ার আজ আমাদের কার্যক্রম এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের এ প্রজেক্টে শুধু আবাসনের সমস্যাই সমাধান করা হবে না এটা দ্বারা একজন শিক্ষার্থী দেশের শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদে পরিণত হবে। আমরা চাই এই হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হবে না। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পরই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করা। ওই সংকট নিরসনে আমরা প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থার জন্য এক মাস আগে একটি কমিটি করেছিলাম। ওই কমিটির সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভবন খুঁজতে থাকেন। একই সঙ্গে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ এক মাসের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সে জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
গত ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ২.৭ অনুযায়ী আবাসিক সংকট সাময়িক নিরসনের উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি অনুদান/স্পন্সর পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসন ৩ ডিসেম্বর কমিটি গঠন করে। তারই প্রেক্ষিতে দেশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য ফিলানথ্রপিক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে।
Sharing is caring!