আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণ বাঁচাতে এবার সালমান খানকে দেওয়া হলো নতুন শর্ত!

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ণ
প্রাণ বাঁচাতে এবার সালমান খানকে দেওয়া হলো নতুন শর্ত!

২৬ বছর আগে একটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগে সমানে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলিউড মেগাস্টার সালমান খানকে। শর্তও দেওয়া হয়েছে। অভিনেতা যদি হরিণ হত্যার দায় শিকার করে দুঃখপ্রকাশ করেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবেই তার প্রাণ বাঁচবে!

গত কয়েক মাস এমন হুমকি এবং শর্ত দিয়ে আসছে রাজস্থানের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার দলের পাণ্ডারা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সালমানকে প্রাণ বাঁচাতে দেওয়া হলো নতুন শর্ত। বার্তা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, প্রাণে বাঁচতে চাইলে সালমানকে বিষ্ণোই মন্দিরে গিয়ে পূজা দিতে হবে।

সোমবার মুম্বাইয়ের ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুমে এই হুমকি বার্তা আসে। সেখানে সালমানের কাছে ৫ কোটি টাকাও দাবি করা হয়েছে। হয়তো এই পরিমাণ টাকা দিতে হবে, নইলে বিষ্ণোই মন্দিরে গিয়ে দিতে হবে পূজা। দুটির কোনোটাই না করলে বলিউড ভাইজানকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।

মঙ্গলবার মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। বলেন, সোমবার মধ্য়রাতে মেসেজের মাধ্য়মে হুমকি দেওয়া হয়। মেসেজটি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই পাঠিয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ। আদৌ বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কেউ বার্তাটি পাঠিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর একইভাবে সালমানকে মেরে ফেলার হুমকি আসে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে। একটি উড়ো ফোনে তার কাছে ২ কোটি টাকাও দাবি করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্য়ে দ্বিতীয়বার হুমকি পেলেন বলিউড ভাইজান। এছাড়া ২৫ অক্টোবরও সালমানকে ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এখানেই শেষ নয়, গত মার্চে সালমানের বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর পাঠানো হয় ইমেইল। কদিন না যেতেই সালমানদের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হয় গুলি, সেখানে অভিনেতার বাবা-মা, দুই ভাইসহ পুরো খান পরিবার একসঙ্গে থাকেন।

যদিও সালমান একা নন, খুনের হুমকি পেয়েছেন প্রয়াত রাজনীতিবিদ বাবা সিদিকীর ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকীও। গত ১২ অক্টোবর রাতে সালমান ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকীকে ছেলে জিশানের বান্দ্রার অফিসের সামনে গুলি করে মারা হয়। এরপর তার ছেলেকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

বাবা সিদ্দিকী খুন হওয়ার পরই বাড়ানো হয় সালমান খানের নিরাপত্তা। উন্নতমানের বুলেট প্রুফ গাড়ি কিনেছেন অভিনেতা। আউটডোরের কিছু কাজও বাতিল করেছেন। তাদের বাড়িতে পুলিশ পাহারা বেড়েছে। ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও দ্বিগুণ করেছেন সালমান। চলাফেরা করছেন খুব সাবধানে।

অভিযোগ, ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে একটি কৃষ্ণসার হরিণকে গুলি করে মারেন সালমান। পরে সেটির মাংস রান্না করে খান। এই প্রজাতির হরিণকে আবার রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের লোকেরা দেবতা হিসেবে পূজা করেন।

সেই হরিণকে গুলি করে মারায় ২৬ বছর ধরে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষের চক্ষুশূল সালমান খান। এই সম্প্রদায়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বলেছেন, সালমানকে হত্যা করাই তার জীবনের মূল লক্ষ্য। যদিও বহুদিন ধরে তিনি দিল্লির তিহার জেলে বন্দি। সেখানে বসেই নাড়ছেন কলকাঠি।

Sharing is caring!