বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দেশ সাজাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার’ প্রতিবাদে মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনের কষ্ট এখন আমাদের কাছে গল্প। আমরা শুকরিয়া আদায় করি, দীর্ঘ দিনের কষ্টের ফসল আমরা ৫ আগস্ট ঘরে তুলেছি। এই ৫ আগস্ট আমাদের একটি চাওয়া পূরণ হয়েছে হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ। এখন আমরা আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ চাই। আওয়ামী লীগ আর ভদ্রলোকের গণতন্ত্র কখনো পাশাপাশি চলতে পারে না। শয়তানের দোসর আওয়ামী লীগ।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা খুশি হই যে তারা চলে গেছে। আসলে খুশি হওয়ার কারণ নেই। তাদের চর-অনুচর রাজনীতি, সংস্কৃতি, সচিবালয়, মিলিটারি সব জায়গায় উপস্থিত আছে। এদের রেখে আপনি কোনোভাবেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।’
বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নতুন নতুন থিউরি আওড়ায়ে যাচ্ছে। তা আমাদের মুখ দিয়েই বের করানোর চেষ্টা করছে। আমরা গিনিপিগ না। নতুন করে যাদের জন্ম হয়েছে, তারা আমাদের শ্রমের মর্ম বুঝবে না। তারা বুঝবে না মাওলানা সাঈদী সাহেব, নিজামী সাহেবরা জীবন দিয়ে গেছেন। বিএনপির শত শত কর্মী জীবন দিয়েছেন। এখনো জেলে আছেন, মামলা আছে। আমার বিরুদ্ধে এখনো মামলা আছে একশ’র উপরে। তবুও এখন গ্রেপ্তার হবো না, তাই শান্তি আছে।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী, বিএনপি ও অন্যান্য দল যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তখন দেশটা পুনর্গঠিত হতে পারে। তা না হলে আমাদের নিয়ে প্রতিবেশী দেশ খেলতেই থাকবে। এটা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না। ৫ আগস্ট ভারত জেনেছে বাংলাদেশের স্বার্থে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেছে, আমাদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য চলে আসছে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তা বিভিন্ন কারণে ভাটা পড়ছে। ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে জামায়াত ও বিএনপির ঐক্য জোরদার করতে হবে। আর যাতে বাংলাদেশে ১৪ দলীয় জোট রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন হতে না পারে, সে জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে অমিল থাকতে পারে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে এক হতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে দুই দল ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
Sharing is caring!