বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকার বাইরে থেকে এসে রাজধানীতে জড়ো হয়েছিলেন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী। তারা গুলিস্তানের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ছাত্রলীগের একজন পদধারী নেতাসহ আটক হয়েছেন চারজন।
শুক্রবার রাজধানীর সচিবালয় এলাকার আশপাশ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় চারটি মোবাইল ফোন, নগদ মোটাঅঙ্কের টাকা জব্দ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের এসব সন্ত্রাসীদের কাছে পাওয়া মোবাইলে বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলতে দলীয় প্রধানের পক্ষ থেকে চোরাগোপ্তা হামলার নির্দেশনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার তথ্যও মিলেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে ঢাকা টাইমস জানতে পেরেছে, বড় ধরনের নাশকতা করতে ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ঢাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তাদের গতিবিধি নজরে রাখছিল গোয়েন্দারা। পরে সচিবালয়ের আশপাশে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন- নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীব হোসেন রাজু। এই রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। ২০২২ সালে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছিলো।
সূত্র বলছে, অভিযানে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর চলছে। আটককৃতদের মোবাইল ফোনে বিএনপির তিনজন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখমের তথ্য আদান-প্রদান ও ছবি মিলেছে। এছাড়া দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বার্তার বেশ কিছু ভিডিও ও অডিও মিলেছে, যেখানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে চোরাগোপ্তা হামলার নির্দেশনা সম্বলিত বার্তা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর ঢাকা টাইমসকে বলেন, তারা নাশকতার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছিল। তাদের বিষয়ে জানতে আমরা সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় যোগাযোগ করছি। আরও কারা কারা এই দলে আছে খুঁজে বের করা হবে।’
এ ব্যাপারে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, চারজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যা আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
তিনি আরও বলেন, চারজনের মধ্যে রাজু ছাড়াও চাটখিল ছাত্রলীগের আরেকজন নেতা আছে। এছাড়া সাতক্ষীরার শরণখোলার আরেক ছাত্রলীগ নেতার পরিচয় মিলেছে। বাকি আরেকজন ছাত্রলীগের কর্মী।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করার পরিকল্পনা করছিল। নাশকতার পরিকল্পনাও তাদের ছিল, সেসব বিষয় যাচাই-বাছাই চলছে।
Sharing is caring!