সরকারের নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো ধরনের প্রচারণা সংবাদমাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে সংবাদমাধ্যমে ছাত্রলীগের প্রচার-প্রচারণা থাকতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের চেয়ে এখানে আইনগত, দেশের জননিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অখণ্ডতার মতো বিষয় প্রাধিকার পেয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ছাত্রলীগের যারা দোষী তাদের অব্যশই আইনের আওতায় আনা হবে। বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া ও ঘেরাওয়ের মতো ঘটনা সরকার বরদাশত করবে না। এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবিধান সংশোধন হবে নাকি পুনর্লিখন হবে- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো একক ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশবাসী দেখেছে সব ধরনের ছাত্র আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগ কীভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এমনকি ৫ আগস্টের পরও তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাগাম টানতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
রিজওয়ানা বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আর একটা বড় কারণ হচ্ছে- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে। আবার এখনো তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি সংগঠনের সন্ত্রাস বসে বসে দেখার কোনো কারণ থাকতে পারে না। সরকারকে যেহেতু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাস দমনের, তাই আমরা প্রাধিকার বিবেচনায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে রিজওয়ানা হাসান জানান, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো সংগঠন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এখনো নেই। নিষিদ্ধ সংগঠনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও উদ্যোগ আপাতত নেই।
ভারতের ভিসা প্রসেঙ্গ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশে এখন এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যাতে কোনো দেশকে ভিসায় রেস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) দিতে হবে।
Sharing is caring!