ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের মিরাটের সেনানিবাস বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাজধানী দিল্লি থেকে ৮০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ওই সেনানিবাসের একটি গেস্ট হাউজে শেখ হাসিনার স্থান হয়েছে বলে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে মীরাটে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কেউ কিছু বলতে পারেননি। রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক হলেও ৫ আগস্টের পর তাকে সেখানে দেখা যায়নি। ফলে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার অবস্থানের সম্ভাবনাই জোড়ালো বলে মনে করে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
ভারতীয় নিরাপত্তা সূত্র বলছে, ‘ভিভিআইপি অতিথি’ শেখ হাসিনার সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় অক্টোবরের প্রথম দিকে তাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারেনি সূত্র।
ভারত সরকার দেশটিতে শেখ হাসিনার অবস্থানের তথ্য নিশ্চিত করলেও তিনি কোথায় আছেন বা কীভাবে আছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। দেশটিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের বিষয়টি কঠোর গোপনীয়তায় রাখা হয়েছে।
আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সামরিক এয়ারক্র্যাফটে করে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। তাকে সেখানে স্বাগত জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যখন এটা স্পষ্ট হয় যে শিগগির তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনার যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না তখন দিল্লিতে একটি ‘সেফ হাউজে’ নেওয়া হয় তাকে। এরপর বেশ কিছু দিন তিনি সেই ঠিকানাতেই ছিলেন। তবে সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় এই ভিভিআইপি অতিথিকে দেশের রাজধানীতে রাখা যে কঠিন, সেটা উপলব্ধি করার পরই তাকে মিরাটে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Sharing is caring!