ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তার সহযোগী ও সমর্থকদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে উদ্দেশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আপনি বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন। হাসিনাকে এ দেশে আসতে হবে, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়।
পরে শাহবাগমুখী রাস্তা ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, উপাচার্যের বাসভবন ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয় মিছিল।
প্রশাসন ও মিডিয়াকে হুঁশিয়ার করে হাসনাত বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করবেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। ছাত্র-জনতা হাসিনার বিকল্প বেছে নিয়েছে, আপনাদের বিকল্পও বাছাই করতে দ্বিধা করবে না।’
সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনের নামে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হয়ে ও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে যারা, তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
’
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা ছাত্রসমাজই নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, হাসিনাকে উত্খাত করা হয়েছে; পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকউন্ট থেকে এই বিষয়ে ফেসবুক পোস্ট দেন।
তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে উত্খাত করা হয়েছে; একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উত্খাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।’
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মতো মানুষের বিরুদ্ধে কী করা দরকার, কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তাঁর জায়গা কোথায় হওয়া দরকার, সেটা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ নতুন করে নির্ধারণ করবে।’ সকালে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অন্যতম সমন্বয়ক আবদুুল হান্নান মাসউদ।
মামলা দায়ের শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কোনোভাবেই আর রাষ্ট্রপতিকে পদে দেখতে চাই না।’
Sharing is caring!